সিলেট শহরে পুলিশের টোকেন বাণিজ্য সংক্রান্ত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর তিন দিনের ব্যবধানে দুইজন ডিসিকে বদলি করা হয়েছে। গত শুক্রবার যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সিলেটে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক কাগজপত্রবিহীন যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা এবং টোকেন বাণিজ্যের বিষয়টি সামনে আসে। এতে সিলেট মহানগর পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহেরকে বদলি করা হয়।
তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে ডিসি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানকে, যাকে ডিসি ট্রাফিকের অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এসএমপি কমিশনার মো. রেজাউল করিম গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে ট্রাফিক পুলিশ মাসোয়ারা নিয়ে অবৈধ ও কাগজপত্রবিহীন যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছিল। ৫ আগস্টের পর কিছুদিন এই বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও সরকারের পরিবর্তনের পর নতুন কৌশলে তা আবার শুরু হয়। ট্রাফিক পুলিশ মোবাইলের পেছনে অবৈধ টোকেন লাগিয়ে যানবাহন চলাচল করানোর ব্যবস্থা করছিল, যা পুলিশ গাড়ি আটকালে মোবাইলে লাগানো ওই টোকেন দেখালে অবাধে চলতে পারত।
এই বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার যুগান্তর পত্রিকায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, পুলিশ প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এসএমপি ট্রাফিক ডিসির বদলির সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এখন জনগণের মধ্যে এই বদলি নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তবে পুলিশ বাহিনী কর্তৃক অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।